তাওহীদের প্রকার । জ্ঞান ও সুসাব্যস্ত করার তাওহীদ । ইচ্ছা ও চাওয়ায় তাওহীদ তথা একত্ববাদ

তাওহীদের প্রকার

রসূলগণ যে তাওহীদের প্রতি দা'ওয়াত করেছেন এবং যার জন্য আসমানী কিতাবসমূহ নাজিল হয়েছে তা দু’প্রকার।

১. প্রথম: জ্ঞান ও সুসাব্যস্ত করার তাওহীদ। 

এটাকে “তাওহীদুর রবূবিয়্যাহ ও তাওহীদুল আসমা ওয়াস্সিফাত” বলা হয়। এ হচ্ছে আল্লাহর একত্ববাদ তাঁর সমস্ত নামে ও গুণাবলিতে এবং কার্যাদিতে।
এর অর্থ: বান্দা দৃঢ় বিশ্বাস রাখবে এবং স্বীকার করবে যে, আল্লাহ্ একক। তিনিই একমাত্র রব তথা প্রতিপালক, সৃষ্টিকর্তা, মালিক ও এ পৃথিবীর মহাব্যবস্থাপক। তিনি তাঁর যাতে তথা সত্তায়, নামসমূহে ও গুণাবলীতে, কার্যাদিতে পরিপূর্ণ। সবকিছুই তিনি জানেন এবং সবকিছুকে ব্যাপৃত করে রেখেছেন। তাঁর হাতে রাজত্ব। তিনি প্রতিটি জিনিসের উপর ক্ষমতাবান। তাঁর সুন্দতম: নাম ও উচ্চ গুণাবলী রয়েছে। 
“তাঁর সদৃশ কিছুই নেই। তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।” [সূরা শূরা: ১১]

২. দ্বিতীয়: ইচ্ছা ও চাওয়ায় তাওহীদ তথা একত্ববাদ। 

ইহাকে “তাওহীদুল উলূহিয়্যাহ ওয়াল-‘ইবাদাহ্” বলে। আর তা হলো সকল প্রকার এবাদতে আল্লাহকে একক সাব্যস্ত করা। যেমন: দোয়া, সালাত, ভয়-ভীতি ও আশা-আকাঙ্খা ইত্যাদি।
এর অর্থ: বান্দা একিন রাখবে এবং স্বীকার করবে যে, আল্লাহ একমাত্র সকল সৃষ্টির এবাদতের হকদার। অতএব, কোন এবাদত আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো জন্য করা যাবে না। যেমন :দোয়া, সালাত, সাহায্য চাওয়া, ভরসা করা, ভয়-ভীতি, আশা-আকাংখা করা, জবাই করা ও নজর-মান্নত মানা ইত্যাদি সবই একমাত্র আল্লাহর জন্য আর অন্য কারো জন্য নয়। আর যে ব্যক্তি এগুলোর মধ্যে কোন কিছু অন্যের জন্য করবে সে মুশরিক হয়ে যাবে। যেমন: আল্লাহ তা‘য়ালা বলেন: 
“যে কেউ আল্লাহর সাথে অন্য উপাস্যকে ডাকে, তার কাছে যার কোন সনদ নেই, তার হিসাব তার পালনকর্তার কাছে আছে। নিশ্চয়ই কাফেররা সফলকাম হবে না।” [সূরা মু‘মিনূন: ১১৭ ]

ইসলামী ফিকাহ-১
মুহাম্মাদ ইবনে ইবরাহীম আত্তওুয়াইজিরী 
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url