আয়াত ও হাদীছসমূহ এবং আল্লাহর নামের সঙ্গে বেআদবীঃ ভয়াবহতা, পরিণাম ও করণীয়

 

আয়াত ও হাদীছসমূহ এবং আল্লাহর নামের সঙ্গে বেআদবীঃ ভয়াবহতা, পরিণাম ও করণীয়

আয়াত ও হাদীছসমূহ এবং আল্লাহর নামের সঙ্গে বেআদবী প্রতি বেআদবী করা যে গুনাহ তা সবারই জানা। 

কিন্তু বর্তমানে মুদ্রণের আধিক্য বিশেষ করে সংবাদপত্র এবং পুস্তিকার ছড়াছড়ির কারণে এ গুনাহটি এত ব্যাপক হয়ে গেছে যে, কোন ঘর, রাস্তা এবং গলি নেই যেখানে কাগজের টুকরো নেই আর তাতে সেগুলাে নেই, অথচ যার মধ্যে আল্লাহর নাম, আয়াত, হাদীছ অথবা মাসয়ালা লিখা থাকে, তার সম্মান করা ওয়াজিব এবং বেআদবী করা গুনাহ। 

কুরআন মজীদ এবং ছিপারার পুরাতন পাতাগুলাে মসজিদের তাকে বা অন্যান্য স্থানে রেখে মনে করে আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করেছি। অথচ এ তাক থেকেই বাতাসের মাধ্যমে অলিতে গলিতে পৌছে। 

এ বেআদবীর গুনাহ যে রাখে তারই হয়ে থাকে। যে কুরআন শরীফ এবং ধর্মীয় কিতাবসমূহ পুরাতন বা ছেড়ে গেছে যা উপকার যােগ্য নয় তার হুকুম হলাে একটি পাক পবিত্র কাপড়ে মুড়িয়ে কোন সংরক্ষিত স্থানে পুতে রাখা। 

অথবা যেখানে নির্মাণ কাজ হয় সেখানে ভিত্তির নীচে রেখে দেয়া যায়। যেমনি এ সকল কাগজ নােংরা জায়গায় নিক্ষেপ করা গুনাহ তেমনি এ প্রকারের সংবাদপত্র এবং পুস্তিকায় যা সাধারণতঃ জানা আছে যে, নিকৃষ্ট বা না পাক স্থানে ফেলা হবে, তাতে কুরআনের আয়াত বা হাদীছ লিখাও না জায়েয। 

যদি কেউ সংবাদপত্রের সঙ্গে বে আদবী করে তবে এ ব্যক্তি যেমন বেআদবী করার কারণে গুনাহগার হবে তেমন উহার লিখক এবং মুদ্রণকারীও গুনাহগার হবে। 

যদি সংবাদপত্রে এ রকম কোন বিষয় লিখার প্রয়ােজন হয়, তাহলে কেবল অর্থ লিখবে যদিও অর্থ সম্মান যােগ্য তার সঙ্গে বেআদবী করাও অন্যায়, তবুও এ দু’টির মধ্যে কিছু পার্থক্য আছে। 

এভাবেই চিঠি পত্রের মধ্যেও আয়াত ও হাদীছ লেখা উচিত নয়, কারণ এগুলােও অধিকাংশ সময় নিকৃষ্ট স্থানে ফেলা হয়। 

হতে পারে, এ জন্যই বুযুর্গগণে দ্বীন থেকে বিসমিল্লাহর স্থানে তার মান লিখার পদ্ধতি বর্ণিত আছে। এবং আল্লাহ লিখার পরিবর্তে লিখা হয়ে থাকে।

মাসয়ালা : যে কাগজে কুরআনের কোন আয়াত বা হাদীছ অথবা শরীআতের কোন মাসয়ালা লিখা আছে সে কাগজ দ্বারা কোন কিছু মুড়া বা পেকিং করা অত্যন্ত মন্দ কাজ। -(দুররে মুখতার আলমগীরী)


মাসয়ালা: এ প্রকারে কাগজের দিকে পা বিস্তার করাও গুনাহ। -(আলমগীরী) 

সাদা কাগজও সম্মানযােগ্য ঐ গুলাে দ্বারা এস্তেঞ্জা করা নাজায়েয।

সতর্কবাণী ও হাজার হাজার মুসলমান বর্তমানে এ স্বাদহীন এবং অনুপকারী গুনাহর মধ্যে লিপ্ত। ইহা এমন একটি গুনাহ যা দ্বারা পরকালে শাস্তির আশংকা আছে। তার শাস্তি দুনইয়ার মধ্যেও অধিকাংশ সময় মহামারী, দুর্ভিক্ষ, অভাব ও মূল্যাধিক্যে আকারে প্রকাশ পায়, সমস্ত পৃথিবী আজ এ বিপদে পতিত। কিন্তু আক্ষেপ উহা দূর করার জন্য প্রকৃত কারণের দিকে কেউ মনােযােগ দিচ্ছে না।

ধন্যবাদ !

প্রবন্ধটির পিডিএফ ডাউনলোড করুন👇




কুরআন তিলাওয়াত, হামদ্, না-ত, ইসলামী সংগীত, ওয়াজ-নছিহতসহ সকল ইসলামী বিষয়ের জন্য নিয়মিত ভিজিট করুন- www.su-path.com


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url