৭০০ শতকের ৪জন মুসলিম বিজ্ঞানী


আবূ ইয়াহিয়া আল-বাতরিক

আবু ইয়াহিয়া ছিলেন একজন অঙ্কশাস্ত্রবিদ। তিনি বৈজ্ঞানিক টলেমির টেট্রাবিবলস' গ্রন্থ অনুবাদ করেন। জ্যোতির্বিজ্ঞানেও তিনি যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেন। 

ব্যক্তিগত জীবনে চিকিৎসক এই বিজ্ঞানী চিকিৎসা শাস্ত্রের ওপর বেশ কয়েকটি গ্রন্থ রচনা করেন।

আল নও-বখত (মৃ. ৭৭৫ খৃ.)

আল নও-বখত জ্যোতিষশাস্ত্রে ছিলেন বিশেষভাবে পারদর্শী। কিতাবুল আহকাম নামে জ্যোতিষশাস্ত্রের ওপর তিনি একটি গ্রন্থ রচনা করেন। 

প্রকৌশল বিদ্যায়ও ছিল তার অগাধ পাণ্ডিত্য, যার প্রমাণ মেলে বাগদাদের ভিত্তি স্থাপনে। তিনি ৭৭৫ খৃস্টাব্দে ইন্তেকাল করেন।

আবু ইসহাক আল-ফাজারী

আবু ইসহাক আল-ফাজারী জ্যোতির্বিজ্ঞানী হিসেবে খ্যাত ছিলেন। তিনি জ্যোতিষশাস্ত্র দিনপঞ্জী নিরূপণ করার পদ্ধতি সম্বন্ধে বেশ কয়েকটি গ্রন্থ রচনা করেন। 

তাঁর রচিত গ্রন্থগুলো ছিলো খুবই উঁচু স্তরের। সমূদ্রে সূর্য নক্ষত্র সমূহের উচ্চতা নির্ণয় করার যন্ত্র আস্তারলব মুসলমান বৈজ্ঞানিকদের মধ্যে তিনিই প্রথম নির্মাণ করেন। 

সাথে সাথে অঙ্কশাস্ত্রের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি তিনিই নির্মাণ করেন। ভারতীয় বৈজ্ঞানিক কঙ্ক তারই প্রচেষ্টায় বারবার বাগদাদ ভ্রমণ করেন।

 

দ্বিতীয় আল-ফাজারী

আবু ইসহাক আল-ফাজারীর সুযোগ্য পুত্র ছিলেন দ্বিতীয় আল ফাজারী। তার প্রকৃত নাম জানা যায়নি। তিনি দ্বিতীয় আল-ফাজারী নামেই বিশ্বে পরিচিত হয়ে আছেন। 

খলীফা আল-মনসুরের নির্দেশে ৭৭২-৭৭৩ খৃস্টাব্দে তিনি সর্বপ্রথম ভারতীয় বিজ্ঞান গ্রন্থ সিহিন্দ-এর আরবী অনুবাদ করেন। দ্বিতীয় আলফাজারী পিতার মত একজন অসাধারণ পাণ্ডিতব্যক্তি ছিলেন। 

জ্যোতির্বিজ্ঞানে তিনি ছিলেন বিশেষভাবে দক্ষ। এলজাবরার জনক আল-খাওয়ারিজম সিহিন্দ-গ্রন্থের অনুবাদের উপর ভিত্তি করেই তার বিখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞান তালিকা ফি জিগ প্রণয়ন করেন।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url